২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সমাজের বাস্তব কথা ভিডিওতে বলে আলোচিত হয়েছেন রাজীব হাসান শিবলী

রাজীব হাসান শিবলী - ফাইল ছবি

ছোটবেলার স্বপ্ন ছিলো কূটনৈতিক হয়ে বিদেশে নিজ দেশের সুনাম অর্জনে কাজ করবেন। তবে সেদিকে আর যাওয়া হয়নি। স্নাতক পড়তে ঢাকায় আসেন। তখনই পড়ালেখার পাশাপাশি করতেন একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি। হঠাৎ মনে হলো অনলাইনে কিছু একটা করার। ইউটিউবে ভিডিও দেখে খুলে ফেলেন ফেসবুক পেজে আর ইউটিউব চ্যানেল। সময়টা তখন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি। পড়ালেখা আর কাজের ফাঁকে টুকটাক ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক, ইউটিউবে ছাড়তেন। ফ্যান, ফলোয়ার তখন তেমন নেই বললেই চলে। ২০২১ এর জুন মাসে হঠাৎ একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে এক সপ্তাহেই ভাইরাল হয় পাঁচটি ভিডিও। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। হু হু করে বাড়তে থাকে ফসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা। ভিডিও আপলোড করলেই মিলিয়ন মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারী তা দেখছেন।

বর্তমান তরুণদের কাছে এক জনপ্রিয় নাম রাজীব হাসান শিবলী। নিজের নামেই খুলেছিলেন ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল। এখন তাকে অনুসরন করেন এক মিলিয়নেরও বেশী ফেসবুক ব্যবহারকারী।

রাজীব হাসান শিবলীর জন্ম যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নবগ্রামে। ছোটবেলায় নানা বাড়ির স্থানীয় সাড়াতলা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন যশোর বিএএফ শাহীন কলেজে। সেখান থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বর্তমানে রাজধানীর তেঁজগাও সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শেষ বর্ষে পড়ছেন। ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিওতে মানুষের বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা, জীবনের চরম সত্য উপলব্ধি, মানুষের স্বাভাবিক দর্শন সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

শুরুতে ফেসবুক থেকে অর্থ আয়ের বিষয়টি জানা না থাকলেও পরবর্তীতে জানতে পারেন ফেসবুক থেকে টাকা আয় করা সম্ভব। অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এবার পথচলা শুরু। প্রতি মাসে ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিও থেকে রাজীবের আয় প্রায় দেড় লাখ টাকা।

প্রথমে পরিবারের সহযোগীতা না পেলেও এখন বেশ উৎসাহ পান। রাজীব বলেন, শুরুর পথটা অনেক কষ্টের ছিলো। পরিবার, বন্ধু কারো সাপোর্ট পাইনি। ভিডিও দেখে সবাই শুধু হাসাহাসি করতো। যখন দেখলো ফেসবুক ব্যবহারকারীরা আমাকে ভালোভাবে নিচ্ছে। ফেসবুকে আমার অনেক ফলোয়ার হচ্ছে সাবাই উৎসাহ দিচ্ছে তখন সমালোচনাকারীরা আর কথা বলেনি।

প্রতিদিন নিয়ম করে একটি ভিডিও নিজের পেজে আপোড করার চেষ্টা করেন রাজীব হাসান শিবলী। তবে ব্যস্ততার কারনে অনেক সময় সেটি সম্ভব হয়ে ওঠে না। পড়ালেখা শেষে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে চাকরিতে একেবারেই না তাঁর। বললেন ব্যাবসায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। বলেন, চাকরিতে এখন আর উৎসাহ নেই। অনলাইনকেই আমার প্লাটফর্ম হিসেবে বেঁছে নিয়েছি। ইচ্ছে আছে ব্যাবসার দিকে মনোযোগ দিব। আর পরিবার যেহেতু আমার কাজকে সাপোর্ট দেয় তাই আর চিন্তা নেই।

সমালোচনা কারীদের উদ্দেশ্যে রাজীব বলেন, সমালোচনা অনেক সময় মানুষের প্রতিভা নষ্ট করে দেয়। কেউ কোন কাজ করতে চাইলে তাকে উৎসাহ দিতে হয়। এতে সে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরনা পাবে ।


আরো সংবাদ



premium cement